গোমতী প্রতিদিন ডেক্স :
থানার ক্যাশিয়ার নাম বিক্রয় করে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করছে সোর্স অলি
একাদিক সংবাদ প্রচার করার পরেও বাড়ছে দিন দিন ক্যাশিয়ার সোর্স অলির চাঁদাবাজি, আসলে কি থানা জড়িত?
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম চকবাজার, ডবলমুরিং, আকবরশাহ এই ৩ থানা এলাকার ক্যাশিয়ার সোর্স অলির চাঁদাবাজির শেষ নেই। এই যেন দিনে দুপুরে ডাকাতি।
অভিযোগ উঠেছে, পতিতালয় থেকে শুরু করে, বাদ যাচ্ছেনা আবাসিক হোটেল, অব্যধ খোলা তেলের দোকান ও মাঝির ঘাট পুরা তেলের বাউচার, স্ক্রাপের দোকান ও টাওয়ার চুরি, সিএসডি গোডায়ন, পাহাড়তলি চালের বাজার, জোয়ার বোর্ড সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে থানার নাম ভাঙ্গিয়ে করছে চাঁদাবাজি।
প্রতি মাসে প্রায় ২৩ থেকে ২৮ লক্ষ টাকার ও বেশি, যা বছরে দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি টাকাও বেশি। এই যেনো আঙ্গুল পোলে কলা গাছ থানার ক্যাশিয়ার সোর্স অলি।
ডবলমুরিং, আকবরশাহ গড়ে ওঠা প্রায় ৪০টির বেশি পতিতালয় ও ১০টির বেশি আবাসিক হোটেল। প্রতি মাসে পতিতালয় থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং আবাসিক হোটেল থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকা দিতে হয় অলিকে।
চকবাজার, ডবলমুরিং, আকবরশাহ এলাকায় গড়ে ওঠা ১০০ ও বেশি স্ক্রাপের দোকান। প্রতিটি দোকান থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা প্রায়। যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ও বেশি। এদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করা টাওয়ার ও টাওয়ারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয় নাজিরপোল ধোনিয়াপাড়া, বায়তুল শরীফ মসজিদের পাশে চোরায় মালামালের গোড়াউনে। এই চোরায় মালামালের গোড়াউন চলে (জাবেদ, মুক্তার, রানা, মিন্টু, হারুন, ইমরান) ৬ জনের সিন্ডিকেটে। এখান থেকে মাসো হারা হিসেবে অলিকে দেওয়া হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।
ডবলমুরিং, আকবরশাহ জায়গায় গড়ে উঠে ১২ থেকে ১৫ টির অব্যধ খোলা তেলের দোকান। যেখান থেকে মাসো হারা হিসেবে নেওয়া হয় প্রায় ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা। এদিকে মাঝির ঘাট পুরা তেলের বাউচার থেকে মাসো হারা হিসেবে নেওয়া হয় প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
ডবলমুরিং সিএসডি গোডায়ন থেকে মাসো হারা হিসেবে নেওয়া হয় প্রায় ১৫ হাজার। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আসে সরকারী চাল, সেই সব সরকারী চাল অবৈধ চলে যায় পাহাড়তলি চালের বাজারে। প্রতিটি চালান থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এদিকে পলিতিন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু পাহাড়তলিতে গড়ে উঠে নিষিদ্ধ পলিতিনের গোড়াউন। যেখান থেকে মাসো হারা হিসেবে নেওয়া প্রায় ১৫ হাজার টাকা।
নাম পরিচয় গোপন রেখে কিছু ব্যবসায়ী বলেন, অলির ডান ও বাম হাত হলেন, মামুল ও বাবুল। তারা পুলিশের পরিচয় দিয়ে করছে চাঁদাবাজি সহ নানান অপকর্ম। এরা প্রশাসনের সহযোগিতা না থাকলে কিভাবে করছে এই সব। এদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। টাকা না দিলে বলে ব্যবসা বন্ধ করে দিবে,পুলিশের ভয় দেখায়।
এই ছাড়াও চট্টগ্রাম অতিথি কর্মজীবী সমবায় লিমিটেড সভাপতি এবং তিন থানার ক্যাশিয়ার খ্যাত সোর্স মোঃ অলি উদ্দিন গত ১০/০২/২০২২ইং অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে যদিও হেরে যায় ওই নির্বাচনে খরচ করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। আলোকিত প্রতিদিন
আলোকিত প্রতিদিন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৪/০৫/২০১৭ইং তারিখে চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কার্যালয় হইতে ০০০০০০০১২৭৩৪ রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে নিবন্ধন লাভ করেন এবং ডবলমুরিং থানায় শেখ মুজিব রোডস্থ নাজির বাড়ি লেন জাকির বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় সমিতির কার্যালয় থেকে কর্মকাণ্ড পরিচালনার ৬ সদস্য কমিটি কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ০১/০৮/২০১৮ইং হইতে সমিতির মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে, ২০০১ সালের ১৮(৩) ধারা মোতাবেক ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয় এবং ২০ জন শেয়ার হোল্ডার হিসাবে (জনপ্রতি ১০০ টাকা) করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ছয় সদস্য পরিচালনা কমিটিতে মোঃ অলি উদ্দিন (সভাপতি), মোহাম্মদ উল্লাহ (সহ-সভাপতি), মোহাম্মদ আব্দুল কালাম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান সদস্য (অলির শ্যালক) মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার সদস্য ( অলির স্ত্রী)। অতিথি কর্মজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কালামের অগোচরে সমিতির টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সভাপতি সোর্স অলি উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, মোঃ খলিলুর রহমান নামে দুইজনকে ভুয়া সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে মাঠ পর্যায়ের টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেন সমিতির সভাপতি সোর্স অলি উদ্দিন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কালাম বলেন, অত্র সমিতির সভাপতি টাকা আত্মসাত করায় আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। তারপর থেকে সমিতির সভাপতি অলি উদ্দিন প্রকাশ সোর্স অলি আমাকে হুমকি এবং প্রাণে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন প্রতিনিয়ত। অলি উদ্দিন আমাদের তিনজনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা করেছিলেন আদালতে। মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলাম তারপরেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। আলোকিত প্রতিদিন
মুঠোফোনে অলি বলে,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখতে সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে।
বাংলাদেশ দন্ডবিধির ধারা ৪১৯ বলা আছে, যে ব্যক্তি অপরের রূপ ধারন করে বা মিথ্যা পরিচয় দিয়া প্রতারনা করে, তিনি যে কোন বর্ননার কারাদন্ডে যাহার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
চলমান…।
Leave a Reply