এম এ মান্নান
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় স্বল্পমূলে ইট দেয়ার নামে গ্রাহকের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে।
ওই ইট ভাটার নাম মের্সাস ন্যাশনাল ব্রিকস এটি হোমনা উপজেলার ভাষা ইউনিয়নে পরিষদে অবস্থিত।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হাসান অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন সল্পমূল্যে ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক কামরুল হাসানের নিকট থেকে কাঁচা কাটা ইট ক্রয়করে নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করি রশিদের মাধ্যমে যার বিক্রয় মূল ৭ লক্ষ টাকা কিন্তু তিনি দীর্ঘ ১বছর যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে বাহানায় এরিয়ে যাচ্ছে আমাকে তাই নিরূপায় হয়ে গত চার মাস আসে হোমনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি তারপর ও মিলছে না ন্যাশনাল ব্রিকস মালিক প্রতারক কামরুলের দেখা।
নাম না প্রকাশ করা একাধিক ব্যক্তি বলেন, ২০২১ সাল থেকে ন্যাশনাল ব্রিকস প্রতি বছর স্বল্পমূল্যে ইট বিক্রির কথা বলে বিভিন্ন ধাপে নামে শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ১কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্রিকসের মালিক প্রতারক কামরুল ইসলাম । মূলত স্বল্পমূল্যে ইট বিক্রির নামে তারা প্রতারণার ফাঁদ পাতেন তিনি।
তার কাছে ভুক্তভোগীরা ইট বা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তার স্থানীয় ক্যাডার দিয়ে হুমকি ও মামলা দেয়ার ভয় দেখান। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ও ভাটা মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগীরা বলেন চক্রটির কাজ হলো স্থানীয় প্রবাসী, চাকরীজিবীদের ও দিনমজুরিদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ইট নেয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করা। এমনকি চক্রের সদস্য ব্রিকসের ম্যানেজার ও দালাল সহ ৫-৬ জনকে এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে তাদের দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে ভয় দেখিয়ে ইট কিনতে রাজি করায়।
নাম না প্রকাশ করা এক ভুক্তভোগী অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন তাদের কথা মতো ভাটার ম্যানেজারের কাছে দুই দফায় সাড়ে চার লাখ টাকা আমি জমা দেই। আমাদের রশিদও দেয়া হয়। ন্যাশনাল ব্রিকসের নামে আমরা ইট সংগ্রহ করতে গেলে বলে, ‘ইট পোড়ানো হয়নি, ইট প্রস্তুত হলে দেয়া হবে। অথচ মৌসুমে বাইরে বিভিন্ন ক্রেতার কাছে তারা ঠিকই ইট বিক্রি করেছেন।
বিষয়টি আমরা জেনে ভাটার মালিক কামরুল ইসলামের নিকট গেলে তিনি নানানরকম তাল বাহানা শুরু করেন। নিজের সঞ্চয় করা এতগুলো টাকা আত্মসাৎ করে নেয়ায় আমি অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছি। আমার মতো অনেকেই এই ইটভাটার প্রতারণার শিকার।
স্থানীয় নাম না প্রকাশ করা আরেক ভুক্তভোগী বলেন। খুব কষ্ট করে অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করে বাড়ি নির্মাণের জন্য টাকা জমিয়ে ছিলাম। স্থানীয় ন্যাশনাল ব্রিকসের কাছে ৫ লক্ষাধিক টাকা জমা দেই। ইটও দেয়নি, টাকাও দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে বলে সামনের বছরে দেব। এমন করে বছরের পর বছর ঘুরালেও তারা আমার টাকা বা ইট কোনোটাই দিচ্ছে না।
আরেক ভুক্তভোগী বলেন আমার কাছ থেকে তার এজেন্টরা তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। এখন ইট দিচ্ছে না; টাকাও দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে তার ছেলের সন্ত্রাসীবাহিনী ও পুলিশ দিয়ে মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখান। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি আমাদের টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিক।
এবিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে প্রতারক কামরুল ইসলাম বলেন আমি সবাইকে টাকা কিংবা ইট ফেরৎ দিব। আমি মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন ঘটনা সত্য কিন্তু আমি এই পযন্ত কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু টাকা ও ইট উদ্ধার করেছি।
Leave a Reply