গোমতী প্রতিদিন ডেক্স :
কুমিল্লা বিমান বন্দর দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ১৯৪১ – ৪২ সালে কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ পাশে ৭৭ একর ভূমিতে তৈরী হয় কুমিল্লা বিমান বন্দর। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বিমান বন্দরটি আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সচল ছিল। পরে অজ্ঞাত কারণে কুমিল্লাতে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। বিমান ওঠানামা না করলেও এখনো চালু অবস্থাতেই আছে বিমান বন্দরটি।কুমিল্লা বিমান বন্দরে নেভিগেশন ফ্যাসিলিটিজ,কন্ট্রোল টাওয়ার, ডিএইচএফ সেট,এয়ার কমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি, ফায়ার ষ্টেশন,ফায়ার সার্ভিস সহ সব সুবিধাই রয়েছে। যাত্রীদের জন্য আলাদা রুমও আছে। সব সুবিধা থাকার পরও অদৃশ্য কোন ইশারায় গত চার দশকের বেশি সময় বন্ধ রয়েছে বিমান বন্দরটি,শুধু উদ্যোগ নিয়ে রানওয়ে মেরামত এবং ফায়ার সার্ভিস ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের কয়েকজন জনবল নিয়োগ করলেই কুমিল্লা বিমান বন্দর থেকে আভ্যন্তরিন রুটে বিমান চলাচলের পাশাপাশি কলকাতা, আগরতলা সহ বিভিন্ন রুটে বিমান চলাচল সম্ভব, এসব কাজের জন্য প্রয়োজন মাত্র বিশ থেকে পঁচিশ কোটি টাকা, শুধুমাত্র স্বদিচ্ছার প্রয়োজন।
প্রতিদিন কুমিল্লা বিমান বন্দরের সিগন্যাল ব্যবহার করছে কমপক্ষে চল্লিশটি এয়ার বাস আর সিগন্যালিং থেকে আয় হচ্ছে মাসে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা।আমরা কুমিল্লা বাসি অনেকেই জানিনা আমাদের বিমান বন্দরটি এখনও চালু রয়েছে ,কিন্তু বিমান ওঠানামা না করাতে আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
কুমিল্লা বাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত আশা কবে কুমিল্লার আকাশে উড়বে বিমান। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবী জানাই আমাদের কুমিল্লার বিমান বন্দরতো সচল রয়েছে কিন্তু শুধু চালুর দাবী জানাচ্ছি ফলে সরকার পাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব তাই ইতিহাস ঐতিহ্য যানা একান্ত প্রয়োজন।
Leave a Reply