শাহনাজ ভুঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুসিক নির্বাচনে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
রোববার (১২ জুন) দুপুর ২টায় নগরীর নানুয়ারদিঘি পাড়ের নিজ বাসভবনে ১৮ দফার এ ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। তবে তার এ ইশতেহারে কোনো চমক নেই বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি কুমিল্লাকে বিশ্বমানের শহরে পরিণত করার ঘোষণা দেন। মেয়র থাকাকালীন ১০ বছর মেয়াদের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন ইশতেহারে। গত দুই মেয়াদে ৭০ শতাংশ পূরণ করেছেন বলে সাক্কু দাবি করেন।
১৮ দফা ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা নগরের অবকাঠামো (সড়ক, জলাবদ্ধতা, যানজট নিরসন) উন্নয়ন, সড়কবাতি লাগানো, শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, বিনোদন, স্বাস্থ্যসেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাজার, শপিংমল, ক্রীড়া ও খেলার মাঠ, বস্তিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, করোনার সময়ে ত্রাণ কার্যক্রম, নিরাপত্তা বিধান, মাদক সন্ত্রাস ও ইভটিজিংমুক্ত সমাজ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান, পাঠাগার স্থাপন ও গৃহকর গণশুনানির মাধ্যমে নির্ধারণ।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক মেয়র সাক্কু বলেন, কুমিল্লা পৌরসভা থেকে সিটিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। পরিকল্পনার প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সমাপ্ত করেছি। এবার নির্বাচিত হয়ে বাকি ৩০ ভাগ কাজ করে কুমিল্লাবাসীকে বিশ্বমানের একটি সিটি করপোরেশন উপহার দেবো।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি মো. কাইমুল হক, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, তারেক আবদুল্লাহ ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য নজরুল হক ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৫ জুন সিটি করপোরেশনের ১০৫ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Leave a Reply