গোমতী প্রতিদিন ডেক্স :
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী এলাকা হতে কুখ্যাত ও দুর্র্ধর্ষ জলদস্যূ জসিম বাহিনীর প্রধান জসিম ডাকাত এবং ট্রিপল মার্ডারার বুতা ডাকাতসহ ০৩ জন জলদস্যূ বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ র্যাবের হাতে আটক।
বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্রের কতিপয় দুস্কৃতিকারী ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন নাপুরা এলাকার বাঁশখালী-পেকুয়া রোডস্থ একটি কলেজের পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একত্রিত হয়েছে সলাপরামর্শ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০১১৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী।
১। মোঃ জসিম (৩৫), পিতাঃ মৃত দানু মিয়া, সাং-সরল, থানাঃ বাশখালী, জেলাঃ চট্টগ্রাম, ২। আব্দুল মাবুদ (৫২), পিতা-মৃত আমির হোসেন, থানা-বাশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৩। মোঃ ওসমান গনি (২৫), পিতা-মৃত দানু মিয়া, থানা-বাশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের দেহ তল্লাশী, নিজ মূখে স্বীকারুক্তি এবং নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে তাদের হেফাজতে থাকা সর্বমোট ০৫টি ওয়ানশুটার গান এবং ০৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত অস্ত্র¿-গুলি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে ব্যবহার করত মর্মে জানায়। বর্ণিত ঘটনাস্থলে গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল বলে তারা অকপটে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামী প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণকারী সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply