গোমতী প্রতিদিন ডেক্স :
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে ভুজপুর হতে ৫৬৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন দাঁতমারা এলাকায় একটি বসতঘরে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৮ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ সকাল ০৬০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করলে র্যাব সদস্যরা আসামী আলমগীর হোসেন (৩০), পিতা- হাবিব মিয়া, সাং- হোসেন খিল, থানা- ভুজপুর, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ সে স্বীকার করে তার হেফাজতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল রয়েছে যা সে গোয়ালঘরে মজুদ রেখেছে। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীর দেখানো গোয়ালঘর হতে আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ৩টি প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতর হতে মোট ৫৬৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে পেশায় একজন কাভার্ড ভ্যান চালক। ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সে কাভার্ড ভ্যানে অন্যান্য মালামালের সাথে সু-কৌশলে মাদক পরিবহণ করত যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বুঝতে না পারে। সে সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে তার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় সংরক্ষণ করত এবং পরে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা এবং কখনও কখনও ঢাকায় উচ্চ মূল্যে পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রয় করত। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ লক্ষ টাকা।
৪। মাদক সম্রাট আলমগীর ভূজপুর ও এর আশেপাশের এলাকাকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। তার প্রধান লক্ষ্য ছিল উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দেয়া। ঐ এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেত না।
৫। উল্লেখ্য সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীর, মিরপুর মডেল থানার মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত ০১ মামলা পাওয়া যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply