পারুল বেগমঃ
মূর্তিমান আতঙ্কের এক নাম মাহমুদুল হাসান পলিন ও শামীম। বাবা আব্দুল লতিফ জাতীয় পার্টি ও চাচা মনির হোসেন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লাার তুখোড় চাঁদাবাজ ভাগিনা আজমত আলী সহযোগিতায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময় বনে দক্ষিণ সিটি ৬৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক।
সেই সাথে এমপির ছেলে সজল মোল্লা এবং শ্যামল মোল্লার সহযোগিতায় নির্বাচনে ৬৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
কিন্তু বর্তমানে ডেমরায় আত্মেকের নাম কিশোর গ্যাং কাউন্সিল পলিনের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া ডেমরার অর্ধশত কিশোর গ্যাং দলবদ্ধভাবে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেখলে আঁতকে ওঠে যে কোন শ্রেনী পেশার মানুষ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৮নং ওয়াড কাউন্সিল মাহমুদুল হাসান পলিন কিশোর গ্যাং নেত্রীতের ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিটি গ্যাংয়ের পেছনে রয়েছে সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলের নেতা সহ,সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গকারি হাতে গনা কয়েক জন অসৎ ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই অসহায় বেরে উঠা কিশোরদেরকে মাদক, অস্ত্র, হানাহানি সহ ঠেলে দিচ্ছে ধংশ স্তূপের দিকে।
উক্ত ৬৭ নং ও ৬৮ নং ওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ করেন আসছেন যারা তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা কিন্তু তাদের হাতে লাঞ্ছিত সাধারণ জনগন। ৬৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল মাহমুদুল হাসান পলিন হলে ও তিনি ৬৭ নং ওয়ার্ডও নিয়ন্ত্রণ করেন অভিযোগ উঠেছে ।
একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ন্যায়পরায়ন মানুষ যার নজর সর্বদাই মানুষের কল্যানে, যিনি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলবাজি সহ কোন অপকর্মের সাথে যুক্ত নেই তিনি হলেন ৬৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইব্রাহিম কিন্তু জোরপূর্বক ওয়ার্ডটি কৌশলে অপকর্মের জন্য দখলে নেয় কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন।
তাহার পালিত কিছু ক্যাডার বাহিনীর সদস্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য প্রায় চার শতাধিক।অপরাধ বিচিত্রারঅনুসন্ধানে জানা যায় , উঠতি বয়সের কিশোর ছেলে গুলো তাদের মা-বাবাকে এতখানিই ভালোবাসে না যতটা ভালোবাসে গাং লিডারদের।
কিশোর গ্যাংয়ের পরিবারের গুলোর অপরাধ বিচিত্রার প্রতিবেদকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন , আমারা আজ বড় অসহায় কাছে বলব আমাদের বুকের ভিতর লুকাইত ব্যথা ,কার কাছে যাব, তারা সবাই ভদ্রবেশী গ্যাং লিডার । সমাজের নেতা নামে কালো চেহারার ভদ্রলোকের কাছে বিচার দিতে গেলেও টাকা লাগে অগ্রিম দিতেহয় আমরা আজ সর্ব শন্ত আমাদের ছেলেদের নিয়ে বড় স্বপ্ন ছিল।
লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব কিন্তু তারা আজ । কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য ওমর কালো হনুমান, মঈনুল, কাল্লু ,বিন্দা ,কানা আলামিন, শুক্কুর, ইয়াসিন ,রুবেল পরিবার বলেন। অনেক আশা ও স্বপ্ন ছিল সন্তানকে হাফেজ, মাওলানা, ডাক্তার বানাবো।
আজ আমাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আর্তনাদ পরিনত হয়েছে সর্বদাই আতংকে থাকি কখন যে কোন খবর আসে।
মাহমুদুল হাসান পলিনের কিশোর গ্যাংদের লিডার হিসেবে নিয়ন্ত্রণের সহযোগীরা হচ্ছে নিম্ন রুপ।
১/কালা আজিজ: কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনের সহযোগী গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণ করেন টেংরা ক্যানেল পাড়, রঙমালা কলেজ, রসূল নগরের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, তার নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ জন । আজিজের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা পতিতা ব্যবসায় জড়িত সহ চাঁদাবাজির অভিযোগ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে এর বাড়িতে হামলাসহ একাধিক মামলার রয়েছে। পলিনের ক্যানেল পাড় পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে থাকেন।
২/আশরাফুল: আমতলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে । আশরাফ, আমতলা, বড় ভাঙ্গা, আদর্শ রোড,ভার্জিন বেকারির গলি সহ রসুলনগর এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ,তার সাথে কিশোর গ্যাংয়ের ১০০ জন সদস্য রয়েছে বলে জানগেছে।
৩/মিম: কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিনের মূল ক্যাডারদের একজন সে নিয়ন্ত্রণ করে রানীমহল, গলা কাটা পোল, বক্সনগর, শুকুরসী, তাহাকে এলাকার বুলুর জামাই হিসেবে পরিচিত। সাথে পলিনের নির্দেশে প্রায় ১২০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে। যারা দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ভাগ করে দায়িত্ব পালন করে। এই গ্রুপটি রানীমহল সিনেমা হল থেকে ব্রিজের নিচে মোটরসাইকেল সহকারে প্রস্ততি নিয়ে অবস্থান করে। এলাকার কোথাও কোন সুযোগ পেলে শুরু হয় হামলা তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের শেষ নেই।
৪/সুমন: একজন পাতিল ওয়ালার ছেলে হিসেবে পরিচিত । তার দায়িত্ব স্টাফ কোয়াটার, পুরাতন পাঁচতলা, হাজি মোয়াযযেম স্কুল ও লিটন মেম্বারের এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা। তার সাথে রয়েছে ৩০ জনেরও অধিক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রয়েছে । সে কথায় কথায় ক্ষমতা দেখায় পান থেকে চোন খসলে দলবল নিয়ে হামলা চালায় অসহায় মানুষের উপর, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
সিটি কর্পোরেশনের কোন দায়িত্বে না থাকলেও তার মোটরসাইকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের লোগো যুক্ত স্টিকার লাগিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মচারী পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ায় । পলিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে সন্ত্রাসী সুমনের মত আরো অনেককেই বেআইনিভাবে স্টিকার ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়েছে।
৫/ফাইজুল: ৬৮নং ওযাডের অস্থায়ী বাসিন্দা গ্রমের বাড়ি কিশোগন্জ সেই সুবাদে নিজেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছের লোক বলে জাহির করার চেষ্টা করে । তবে এই নামে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পরিবার কাউকে চিনেন না বলে অপরাধ বিচিত্রা নিশ্চিত করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি হামিদুর রহমানের বড় ছেলে সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ।
Leave a Reply