মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গৌরীপুর আটঘরা তন্তুবায় সমবায় সমিতির নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালতে সমিতির সাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ গং মামলা দায়ের করেছেন। নওসের আলী ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ৮জনকে আসামী করে এ মামলা করা হয়। মামলা নং ৫৫৭/২২। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন সদস্যবৃন্দরা । মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গৌরীপুর আটঘরা তন্তুবায় সমবায় সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত চলতি মাসের (১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সমবায় বিধি আইন ভঙ্গ করে নির্বাচন পরিচালনা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। বিবরনীতে আরো জানা যায়, অবৈধ্য ভাবে ৮২ নতুন সদস্য ভোটার বানিয়ে নির্বাচন করা হয়। যার জন্য অন্য সদস্য সমিতিরি নাজ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সমিতির প্রকৃত সদস্য ১২৩ জনকে তাদের শেয়ার ও সঞ্চয় জমা আছে। কিন্তু সমিতিতে ৮২ জন নতুন সদস্য দেখানো হয়েছে। তাদের কোন শেয়ার বা সঞ্চয় জমা নেই। ওই সমিতির ৪৩জন স্বাক্ষরীত উপজেলা ও জেলা সমবায় অফিসারের কাছে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পেয়েও সমবায় অফিসারা নিরব ভূমিকা পালন করেন অন্য সদস্যরা জানান। পরে এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। নির্বাচনের আগে আলোচনায় বলা হয়েছিল, অস্থায়ী কমিটির দায়িত্ব ছিলো সুন্দর পরিবেশে একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি উপহার দেয়া। কিন্তু সেই অস্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দেরা প্রতারণা করে একটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে তারা নিজেরায় সমিতিটাকে দখল করে বসে আছে। তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, নির্বাচন কার্য বিবরণী ৩০ অক্টোবর ২০২২জেলা অফিসারের কাছে জমা দেয়ার কথা থাকলেও বেআইনি ভাবে সর্বশেষ তারিখকে বৃদ্ধাংগুল দেখিয়ে ১৩দিন পর জেলা অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন। যা ওই সমিতির নির্বাচন আইনের পরিপন্থী কাজ বলে মনে হয়েছে। বাদি ও ভুক্তভোগীরা বহুবার উপজেলা ও জেলা সমবায় অফিসারের দারস্থ হয়ে, লিখিত ভাবে অভিযোগ করার পরও কার্যত ওই দু’কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করেন, ও ওই ভূয়া নির্বাচন বাতিলের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে ন্যায় বিচার ও নির্বাচন বাতিল চেয়ে, আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। আইনকে অমান্য করে নির্বাচন কার্য পরিচালনা করেছেন । সাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, অস্থায়ী কমিটি থাকাকালীন ওই কমিটির ক্ষমতা ছিলো না সদস্য ভর্তি করার ব্যপারে। কিন্তু দেখা যায়, অস্থায়ী কমিটি সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে ৮২ জন সদস্য ভর্তি করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন দেখিয়ে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম করে। যা উপজেলা ও জেলা সমবায় অফিসার দু’জনই অবগত থাকা স্বত্তেও ওই বেআইনি নির্বাচন কমিটি অনুমোদন করেছে। এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা সমবায় অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ স্বাক্ষরসহ জেলা সমবায় অফিসার বরাবর পাঠানো হয়েছে তিনি বিষয়টি দেখবে। এ ব্যাপারে জেলা সমবায় অফিসার এস এম মন্জুরুল হক বলেন, যেহেতু নির্বাচন বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে, তাই আমার আর কিছু করার নেই, আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply