নিজস্ব প্রতিবেদক :
গোপনে প্রেম করলেও অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পরার বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কাজ থেকে আড়াল করতে পারেনি সুমাইয়া। কে এমন সর্বনাশ করলো তা জানতে পরিবার যখন সুমাইয়াকে চাপ দিলো, তখন সে তার অনাগত সন্তানের বাবার নাম প্রকাশ করলো। ভÐ প্রেমিক মো.জাকির (৩৫) ঘটনা অস্বীকার করলেন বিকালে আর আমার মেয়ে রাতে গলায় ফাঁস দিলো।
বুক চাপরিয়ে বিলাপে বিলাপে ঘটনাটির বর্ণনা এভাবেই দিয়েছেন নিহত সুমাইয়ার মা। সুরাইয়া রামচন্দ্রপুর আকাব্বর নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করলে এলাকায় হৈচৈ পরে। স্থানীয় মেম্বার কাউসার দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্ত প্রেমিক গা ঢাকা দিয়েছেন। এই ঘটনা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কাঠালিয়াকান্দা গ্রামে।
অভিযোক্ত মো.জাকির (৩৫) কাঠালিয়াকান্দা গ্রামের কালা গাজীর ছেলে। তার সংসারে এক স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। জাকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দরজায় তালা দিয়ে পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মুঠো ফোনও বন্ধ। তাই এই বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া নেয়া সম্বব হয়নি। স্থানীয় মেম্বার কাউসার বলেন, ‘দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়ার চেষ্টা করছি।
মেম্বার হয়ে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন কী না? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, জাকির সুমাইয়ার বাবাকে কিছু টাকা দিতে রাজি। সুমাইয়ার বাবা হাকিম মিয়া গরিব। সে কিছু টাকা পেলে তার সংসারটা ভালো চলবে। যে মরে গেছে সে তো আর আসবে না।’ নিহত সুমাইয়ার পিতা হাকিম মিয়া বলেন, স্থানীয় মেম্বারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি পারবো না।
সে অনেক প্রভাবশালী। বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সুমাইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। মেডিকেল রির্পোটের উপর ভিক্তি করে আইনি পদক্ষেপ নিবো।
Leave a Reply