মোহাম্মদ জুবাইর
রামগড়ে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর রাস্তা প্রশস্ত করণে ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সর্বত্র। সাধারণ মানুষ ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বর সাথে অধিগ্রহণ বিষয়ে অবহিত করণ সভা করেছে।
সভায় রামগড় পৌরসভাসহ সোনাইপুল বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে খোলা আলোচনা হয় নানা অনিয়ম নিয়ে ও প্রতিবাদ করতে দেখা যায় রাস্তার পাশের বাসিন্দাদের।
সভায় সাধারণ ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে মোঃ ওমর ফারুক তার বক্তব্যে স্পষ্ট অনিয়মের বিষয়ে তুলে ধরেন তিনি বলেন, সড়কের দুপাশে প্রায় ১২০০ ডিসিম বা শতক ভূমি দস্যুরা নামে বেনামে নিজের নামে দলীল সৃজন করেছে, দীর্ঘদিন মানুষ নিজ বাসা বাড়ির সামনের জায়গায় দখলে চৌহদ্দি থাকার পরও কিভাবে ভূমিদস্যুরা শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে!
এদিকে জেলা এডিসি বিষয় ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও দৃশ্যত কোন ফলাফল ভুক্তভোগীরা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তারা ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে খোলা চিঠি লিখেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এ ফারুক ওমর নামে একজনের ওয়াল থেকে পাওয়া লিখাটা তুলে ধরা হলো – জনগন উদগ্রীব হয়ে জানতে চেয়েছে রামগড়ে কারা ভূমি দস্যু? সরকারি অধিগ্রহণের টাকা প্রথম পকেটে ডুকার প্রমান সহ দেওয়া হলো,আশা করি সবাই বুঝে যাবেন কারা রামগড়ের ভূমি দস্যু। কিছু ভূমি দস্যু নিজের ঘরের দলিল অন্য লোকের নামে পরিবর্তন করেছে। এটা করে তারা সাধারণ মানুষকে ধোকা দিতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমীপে —
আপনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন, রামগড় স্থলবন্দরের রাস্তা প্রশস্ত করন উপলক্ষে জায়গা অধিগ্রহণ নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আবেদন।
রামগড়ে স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে কিছু ভুমিদস্যু উৎপত্তি হয়েছে, এদের শেল্টার দিচ্ছে কিছু নামধারী আওয়ামী লীগের লোক, যেমন এখানে ভূমিদস্যুদের প্রধান হচ্ছে মোস্তফা রাইটার, নুরের নবী চৌধুরী, পৌরসভার রোলার চালক নুর ইসলাম চিহ্নিত বিএনপির ক্যাডার ছিলো, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মানুষ তাদের চরিত্র দেখেছে।
এবং তাদের সাথে রামগড় ভুমি অফিসের কিছু লোক জড়িত আছে। এখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়, বিএনপির এই ভূমিদস্যুদের এত বড় দুঃসাহস কে দিয়েছে?
যে জায়গায় আজকে মানুষ ৫০/৬০ বছর ধরে বসবাস করতেছে, সেই জায়গার মালিক নাকি এখন ভূমিদস্যুরা, সরকার ক্ষতি পূরণ দিচ্ছে যারা জায়গা হারিয়ে ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে তাদের, রামগড় বাসি উৎকন্ঠিত এরই মধ্যে ভূমিদস্যুরা এসে উমুক নেতার এত ডিসিম তমুক জনের এত ডিসিম, জায়গা মনে হয় ভূমিদস্যুদের বাপ দাদারা রেখে গেছে, সাধারণ মানুষের জায়গা অন্য জনকে দিয়ে জায়েজ করার পায়তারা চলতেছে।
আজ পর্যন্ত শুনি নাই ভূমিদস্যুরা বিএনপির কোন লোকের জায়গা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে কারণ তারা তাদের নেতা ছিল। কিন্তু দুঃক্ষের বিষয় হল এই ভূমিদস্যুরা কৌশলে আওয়ামী লীগের লোকদের জায়গা এবং কিছু সাধারণ মানুষের জায়গা হাতিয়ে নিয়েছে এবংভূমিদস্যুদের পক্ষে চাপাই গাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকে জায়গার ভাগ দিবে বলে হাত করে নিয়েছে,, (কার জায়গা কে ভাগ করে)
বর্তমানে এই ভূমিদস্যুদের কারণে আওয়ামী লীগের দুইটা গ্রুপ মুখোমুখি, একটা ভূমিদস্যুদের পক্ষে,আর একটা যারা ভূমি হারাদেরকে সহযোগিতা করতেছে তাদের সাথে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নিকট আকুল আবেদন এই যে উল্লেখিত বিষয়টি সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এই ভুমিদস্যুদর বিচারের আওতায় আনা হোক, পাশাপাশি খাস জায়গার ক্ষতিপূরণ হয় সরকার নিবে না হয় যারা দখলদার তাদের কে ক্ষতি পূরণ দেওয়া হোক।
Leave a Reply