মোঃ হাসান, হোমনা উপজেলা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার হোমনা বাষানিয়া ইউনিয়ন কাশিপুর গ্রামের মৃত আলী আকবরের মেয়ে কুলসুম আক্তার কে ভাতের মাড়ে দগ্ধ করা হয়।
৪/৪ ২০২২ তাঃ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৫/৪৫ মিঃ কুলসুমের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লা, মুরাদনগর, দিলালপুর গ্রামের
মোঃ মোকবল হোসেনের ছেলে মোঃ নাসিরের সাথে শরীয়ত সম্মত বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হন ভুক্তভোগির পরিবার জানায় ১৪ বৎসর সংসারী জীবনে আমার গর্বে ২ মেয়ে ১ ছেলে জন্মগ্রহণ করে ছোট বাচ্চার বয়স তিন বৎসর। সংসার জীবনে আমি তার কাছে একদিনও সুখ পাইনি।
যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতো তার অত্যাচারে আমার বাবার বাড়ী হইতে
সি, এন,জি, কেনার জন্য তিন লক্ষ টাকা আনিয়া দেই।
আমি আমার ছোট বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকাইয়া স্বামীর সকল অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করি। তারপর আমাকে না জানিয়ে গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ করেএবং আমার বাবার বাড়ি থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা আনিয়া দেয়ার জন্যে
আমাকে চাপ সৃষ্টি করে। আমার বাবা ও বড় ভাই নেই। আমি টাকা আনতে অপারগতা স্বীকার করায় উক্ত আসামি গন ষড়যন্ত্র করিয়া আমাকে প্রাণে মারিয়া ফেলার চেষ্টা করে।
।১নং- স্বামী মোঃ নাসির ৩৮
পিতা মোকবল হোসেন
২ নং- ছেনোয়ারা বেগম ৬০
স্বামী মোকবল হোসেন
৩ নং- নাসিমা বেগম ৩৬
স্বামী নাসিরুদ্দিন
৪ নং- আলী আকবর ৪৫
পিতা আবদুল বারেক
৫ নং সুরাইয়া বেগম ৪২
পিতা মোকবল হোসেন সহ একত্রিত হইয়া ৪/৪/২০২২ তাঃ বিকাল ৫/৪৫ মিঃ আমি পাকের
ঘরে রমজানের ইফতারি তৈরি করি
এমত অবস্থায় পাষণ্ড স্বামী নাসির ও তার সহযোগীরা পাকের ঘরে ঢুকিয়া আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। তখন স্বামীর পায়ে ধরিয়া চিৎকার করিয়া বলি।
তোমার বাড়ি কাজের মেয়ে হিসেবে থাকবো। আমার বাচ্চাদের বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবো। তবুও আমাকে প্রাণে মারিওনা কিন্তু মুক্তি দিলো না পাষণ্ড নিষ্ঠুর স্বামী।
মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায়
আমার শাশুড়ি ভাতের গরম মার (ফেন)হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বুকের উপর ঢালিয়া দেয় জ্বলশে যায় আমার সারা অঙ্গ
আমার চিৎকার সোনিয়া আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।ভুক্তভোগির মা জানায় বিভিন্ন সময়ে টাকার জন্য আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে। এলাকার লোকজন পঞ্চায়েতের মাধ্যমে লিখিত বিচার সালিশ করে । বন্দ করতে পারেনি তার অত্যাচার। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
এই বিষয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এবং ২ নং আসামি ছেনোয়ারা বেগমকে মুরাদনগর থানা পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
জামিনে ছাড়া পেয়ে শাশুড়ি ঘুরে বেড়ায় এলাকায়, পাষন্ড স্বামী নামে নরপশু পলাতক।
Leave a Reply